সংসদে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবির রাজভি।
তিনি বলেন, গতকাল আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে যেতে হলে কারাগারে যেতে হবে, আবার আবেদন করতে হবে। আইন কাকে বলে? তুমি মিথ্যা বলছ. শেখ হাসিনা (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী) মুইন আল-দীন ফখরেদ্দিনের শাসনামলে কেমন ছিলেন? আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক (আবদুল জলিল) কীভাবে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গেলেন? সেদিন তারা কোন আইনে গিয়েছিল? আপনি তখন মঈনুদ্দিন ফখরেদ্দিনের অধীনে দুদকের প্রধান কৌঁসুলি।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকালে এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন।
রাদভি বলেন, দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এসাম আবদ আল-রব কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মুক্তি পান। অজস্র উদাহরণ আছে, অজস্র উদাহরণ আছে। সরকার যে কোনো মুহূর্তে বেগম অমর জিয়ার জন্য এমন নাজুক অবস্থার অনুমতি দিতে পারে। আমরা এখনও দেশনেত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলতে চাই, আপনারা ভুলে যাবেন না যে, এদেশের কোটি কোটি মানুষ, তরুণ-তরুণী, নারী, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়, রাজপথে, মাঠে। , গ্রামে গ্রামে জাতীয়তাবাদীদের নিয়ে হাসাহাসি করছে।" লাখো মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে অমানবিক পথ ধরলে কোটি কোটি মানুষ রাজপথে নেমে এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে যথাযথ জবাব দেবে। এই উত্তরে আপনারা কেউই বাঁচবেন না।
আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি খুবই নিষ্ঠুর, আপনি খুব মানসিকভাবে অসুস্থ। শেখ হাসিনাকে খুশি করতে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন কিছু নেই। আপনি আদালত আপনার পকেটে ধরে এটি করেন। আইনমন্ত্রী: আপনার মতো জঘন্য, জঘন্য কাজ পৃথিবীতে আর কেউ করেনি। বিএনপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর কষ্টে সন্তুষ্ট আইনমন্ত্রী। তাই সব ধরনের অমানবিক আইনের কথা বলে, জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের হয়রানি করে শেখ হাসিনাকে সাধু, ভালো মানুষ, সন্ন্যাসী বানাতে চায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আশু আরোগ্য কামনা করে রাজাভির কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জাতীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের উদ্যোগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জামাত নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নতুন ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আল-জাসাস কমিটির অনেক সদস্য অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা পার্টির প্রধান আমিন আল-ইসলাম, নসরুল ইসলাম তালুকার, যুগ্ম গুপ্তচর সদস্য লিয়াকত আলী, আহসানুল্লাহ চৌধুরী, জাবেদ আহমদ কাসলো, শাহরি ইসলাম ফরহাদ হোসেন নিয়ন, প্রমুখ। অন্যান্য.