বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছে পরিবার। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে আপিল করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সোমবার (১৫ নভেম্বর) আবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শুন্দেহারার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি ১২ নভেম্বর রাত থেকে অসুস্থ বোধ করছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শাহাবুদ্দিন তালুকারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল কমিটি তাকে দেখে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে কেবিনে রাখা হলেও পরে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গুলশানে নিজ বাসায় ফিরে আসেন তিনি।
খালেদা জিয়া কয়েক বছর ধরে বাত, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে গত ২৬ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।
২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ মার্চ তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপি নেতারা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। দেশ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার শর্তও পেয়েছেন তিনি।