ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয় || ডায়াবেটিস সারানোর উপায়

ডায়াবেটিস একটি অসংক্রামক রোগ। এই রোগ হলে তা আর নির্মূল করা যায়না। কিন্তু নিয়ম নীতি এবং ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগে আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে ,যেন ডায়াবেটিস না হয়। 

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়


আর যদি ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে, আমাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই নিয়ম-নীতি মানতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিসকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। তাহলে আজকে আমাদের বিষয় হলো ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হবে চলুন তাহলে শুরু করা যাক। 


ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়


অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক ভয়াবহ রোগ এবং এই রোগ হলে সারাজীবন ইনসুলিন নিতে হয়। কিন্তু বিষয়টি আসলে মোটেও সেরকম নয় ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি আপনার ভরা পেটে ১০ এর উপরে চলে যায় তখন আপনার নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। 

যদি আপনার নিয়ম-নীতি মেনে চলার পরেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না আসে তখন আপনার ইনসুলিন নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়। এই বিষয়ে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রথমে জানতে হবে ডায়াবেটিস কত প্রকার এবং কি কি?

আমরা অনেকেই জানি ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ ডায়াবেটিস সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে। তবে প্রধান দুইটি ডায়াবেটিস এবং টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত খুব কম মানুষের হয়ে থাকে আমাদের দেশে সাধারণত ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষের টাইপ টু ডায়াবেটিস। 


টাইপ টু ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক পর্যায়ে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হলে অবশ্যই ইনসুলিন নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। আপনার শরীরে যদি রক্তের গ্লুকোজ এর পরিমান খাওয়ার পরে ৭ থেকে ১১ ভিতরে থাকে তাহলে আমরা তাকে নরমাল ডায়াবেটিস বলে থাকি 

কিন্তু যদি আপনার শরীরে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ ১১ বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে তাকে আমরা সম্পূর্ণ ডায়াবেটিস বলে থাকি।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়


ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় এবং সারা বিশ্বে এই ডায়াবেটিসের জন্য প্রায় দশ লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। 

তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এছাড়া নিয়ম-নীতি মেনে চললে যেকোনো ব্যক্তি এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 

শরীর যখন রক্তের গ্রুপকে ব্যর্থ হয় ঠিক তখনই ঝামেলা হয়ে যায় এবং তখনই আমরা তাকে ডায়াবেটিস বলে এবং এর ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায় ডায়াবেটিসের কারণে মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিসের(সুগারের) লক্ষণ কি?


ডায়াবেটিসের লক্ষণ সাধারণত প্রকাশ পায় না। এটি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করতে হয়। 

তবে কিছু কিছু শারীরিক লক্ষণ আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি। 

  • যেমন ঘন ঘন প্রসাব হয়। 

  • গলা অমুক বারবার শুকিয়ে যায়। 

  • হঠাৎ করে ওজন কমে যায়। 

  • শরীরের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে গেলে তাতে অনেক সময় লাগে। 

  • শরীর অনেক দুর্বল লাগে হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে যায়। 

এই সমস্ত লক্ষণ থাকলে আমরা সরাসরি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাবো এবং অতি দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিব। 


ডায়াবেটিস সারানোর উপায়


ডায়াবেটিস যদি একবার হয়ে যায় তাহলে এটা কি আর নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে নিয়ম নীতির মাধ্যমে এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই কি সব নিয়মকানুন মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

  • প্রচুর পরিমাণে হাঁটতে হবে তাহলে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। 

  • তেল-চর্বি ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। 

  • ধূমপানমুক্ত থাকতে হবে তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

  • চিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে তাহলে ডায়াবেটিসকে সারানো সম্ভব। 

  • প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং মৌসুমী জাতীয় ফলমূল খেতে হবে তাহলে ডায়াবেটিস সারানোর সম্ভব। 

  • পরিপূর্ণ খাদ্য তালিকা তৈরি করে নিতে হবে এবং তালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে তাহলে ডায়াবেটিস সারানোর সম্ভব।


প্রিয় পাঠক ,তাহলে ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারলাম। এককথায় ডায়াবেটিস হচ্ছে একটি নিয়ন্ত্রণ জাতীয় রোগ এই রোগকে প্রতিরোধ করতে হবে। এবং যদি একবার হয়ে যায় তাহলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিস থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব এবং নিরাময় করা সম্ভব। 

কিন্তু যদি আমরা নিয়ম-নীতি না মানে তাহলে ডায়াবেটিস মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয় তাই। আমাদেরকে অবশ্যই আগেভাগে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে। 

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form